October 7, 2024, 1:29 pm

সংবাদ শিরোনাম
মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী

মহামারী মরন ব্যাধী করোনামুক্ত চার লাখের বেশি ভারতে ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার রোগী শনাক্ত

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

একশ ত্রিশ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে রীতিমতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রোববার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮৫০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৫ জনে। তবে আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার হারও বাড়ছে ভারতে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন চার লাখের বেশি মানুষ।স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৪ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬ জনের। এ পরীক্ষার হার আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা বলছেন, কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে, আজই মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ছুঁয়ে যাবে এবং দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যাও ২৫ হাজার পেরিয়ে যাবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের এক মুখপাত্র জানান, ১৫ আগস্টের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’ চালু করতে বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদি সরকার।উপসর্গহীন করোনা রোগীদের জন্য ‘সেফ হোম’ চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগের প্রশংসা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা। ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ফেরার পর থেকেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। অনেককেই দেখা গেছে, করোনার কোনো উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার রিপোর্টে মিলেছে কোভিড সংক্রমণের প্রমাণ। আর উপসর্গহীন করোনা রোগীদের মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমণের আশঙ্কা নেহাত কম নয়। তাই উপসর্গহীন কিংবা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে তাদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়।সেলফ আইসোলেশনে থাকাকালে ওই রোগীদের দেখবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শ্বাসকষ্ট হলে তবেই তাদের ভর্তি করা হবে হাসপাতালে। ওইসব রোগীর থাকার জন্য ‘সেফ হোম’ চালু করে রাজ্য। ইতোমধ্যে কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে ১০৬টি ‘সেফ হোম’ তৈরি হয়েছে। সব রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা। ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা ‘সেফ হোমের’ কথা জানান। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা এই উদ্যোগের কথা শুনে অবাক হয়ে যান। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ‘সেফ হোম’ অত্যন্ত কার্যকরী বলেই জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গের এই উদ্যোগের প্রশংসাও করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের এই ‘সেফ হোম’ মডেল অনুসরণ করে উপকৃত হয়েছে রাজস্থানও।ভারতে আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্র এখনও শীর্ষে।এ রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ।প্রশাসনিক সমন্বয়ের দিকে জোর দিতে শনিবার বৃহম্মুম্বই কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যদিও বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের অভিযোগ, মহা বিকাশ আগাড়ির শরিকদের মধ্যে তো বটেই, নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গেও সমন্বয় নেই উদ্ধবের।আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতেও জারি করোনার প্রকোপ।এ রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা লক্ষাধিক।তবে শুক্রবার একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বাধিক বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে কর্নাটকে।১৬৯৪ জন নতুন করে পজিটিভ হন, যাদের মধ্যে ১১০০’র বেশি বেঙ্গালুরুর।‘চেন অব ট্রান্সমিশন’ ভাঙতে শনিবার রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৫টা পর্যন্ত শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত মেডিকেল বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। এর ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ২৩১ জন।এখন পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাকটিভ কেস ৬ হাজার ৩২৯টি। সংক্রমণের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও ক্রমশই বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তার পারদ।একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৩৬ জনে। তবে করোনা সংক্রমণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে সুস্থতার হার বেশ ভালো। রাজ্যে সুস্থতার হার ৬৬.৭২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন ৫৯৫ জন। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ১৬৬ জনে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৬ জুলাই ২০২০/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর